কোকা-কোলা ও কেওক্রাডং-এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান: সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে ১৪৫০ কেজি বর্জ্য পরিস্কার
কোকা-কোলা সিস্টেম বাংলাদেশ এবং কেওক্রাডং বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সমুদ্রসৈকতে পরিচালিত হয় এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এ সময় সমুদ্রসৈকত থেকে ১,৪৫০ কেজি অপচনশীল বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে।
02-01-2022
কোকা-কোলার ‘বর্জ্য মুক্ত বিশ্ব’ প্রতিষ্ঠার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সর্বমোট ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন। ওশান কনজারভেন্সির হয়ে বাংলাদেশে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে কেওক্রাডং বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক সব খবরের জন্য, ডেইলি স্টারের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
বার্ষিক "ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ" কর্মসূচির আওতায় টানা ১১তম বারের মতো এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠান দু'টি।
স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে ছিলেন সেন্টমার্টিনের স্থানীয় লোকজনসহ সারা দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
৩৩তম বার্ষিক ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ কার্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ প্রকল্পটি ২০৩০ সালের মধ্যে কোকা-কোলার ‘বর্জ্য মুক্ত বিশ্ব’ প্রতিষ্ঠার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, “সেন্ট মার্টিনের সমুদ্রসৈকত পরিষ্কার রাখার জন্য ১১ বছর ধরে কেওক্রাডং বাংলাদেশের নিরলস প্রচেষ্টাকে কোকা-কোলা বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।"
"প্রতিবছর সামুদ্রিক বর্জ্যের পরিমাণ যেমন বেড়েছে, আয়োজনে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যাও বেড়েছে।" সবাই এগিয়ে এসে নিজেদের দায়িত্ব পালন করলে শুধু সেন্ট মার্টিনই নয়, আমরা বর্জ্য মুক্ত একটি পৃথিবীও গড়ে তুলতে পারব।"
ওশান কনজারভেন্সি’র এদেশীয় সমন্বয়ক মুনতাসির মামুন বলেন, “সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরুপ নিদর্শন। এর সৌন্দর্যের টানে প্রতিবছর হাজারো পর্যটক এ দ্বীপে জড়ো হন।
"দ্বীপটির সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি এর সংরক্ষণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে, বিগত এক দশক ধরে প্রতি বছর উপকূল পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করে আসছি এবং প্রতি বছরই এতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে কাজ করলে শুধু সেন্ট মার্টিন নয়, পুরো পৃথিবীকেই আমরা আরও পরিষ্কার করে তুলতে পারব।"
২০১১ সাল থেকে কোকা-কোলা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কোস্টাল ক্লিনআপ উদ্যোগে সহায়তা করে আসছে।
গত ১০ বছরে ৪, ৫০০-এর বেশিসংখ্যক মানুষ একত্র হয়ে ১২,০০০ কেজির বেশি সামুদ্রিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ পার্টনারশিপের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সমুদ্রগুলোকে দূষণমুক্ত করতে কাজ করছে কোকা-কোলা।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান বলেন, "প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রতিবছর হাজারো পর্যটক আমাদের এ দ্বীপে আসেন। আমাদের অর্থনীতি ও সমাজের জন্য এ পর্যটন আশীর্বাদস্বরূপ।"
"কিন্তু এ পর্যটনের কারণে আমাদের প্রধান যে সমস্যা হয়, তা হলো সমুদ্রসৈকতে নানা ধরনের বর্জ্য ও সামুদ্রিক বর্জ্য জমা হয়ে থাকে।" সৌভাগ্যবশত, কোকা-কোলা এবং কেওক্রাডং-এর মতো সংস্থার সৈকত পরিষ্কারে প্রশংসনীয় উদ্যোগগুলির কারণে দ্বীপের সৌন্দর্যকে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।"