নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন এবং ইউনাইটেড পারপাস

এই কর্মশালায় নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে উইমেন বিজনেস সেন্টারের ভূমিকা তুলে ধরা হয়

ট্রিবিউন ডেস্ক

Invalid date. Please publish page or set Publication Date

কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ইউনাইটেড পারপাসের যৌথ উদ্যোগে গোপালগঞ্জে “নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক সুরক্ষায় উইমেন বিজনেস সেন্টারের ভূমিকা” শীর্ষক এক জ্ঞান-ভিত্তিক কর্মশালার আয়োজন করে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই কর্মশালায় নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে উইমেন বিজনেস সেন্টারের ভূমিকা এবং সমাজ উন্নয়নে নারী উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

গোপালগঞ্জ, জামালপুর, খুলনা এবং বাগেরহাটের নারী উদ্যোক্তাসহ মোট ৫০ জন উক্ত কর্মশালায় যোগদান করেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলার ডিসি শাহিদা সুলতানা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন টুঙ্গিপাড়ার ইউএনও মোঃ আল মামুন।

উইমেন বিজনেস সেন্টারের উদ্যোক্তা এবং স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে এই কর্মশালা পরিচালিত হয়।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা গ্রামাঞ্চলে নারীর ক্ষমতায়নে উইমেন বিজনেস সেন্টারের ভূমিকা নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।

শাহিদা সুলতানা বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ইউনাইটেড পারপাসের উইমেন বিজনেস সেন্টারের মতো যৌথ উদ্যোগ মানুষের পূর্ণ সম্ভাবনাকে বের করে আনতে সাহায্য করে। এই ধরনের কর্মসূচী এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের গ্রামীণ ও প্রান্তিক নারীরা নিজেদের ক্ষমতায়ন করতে পারেন। পরিবারের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে পারেন। পুরো সমাজ এর সুফল ভোগ করবে।”

২০১০ সালে ফাইভ বাই টুয়েন্টি নামে ১০ বছর মেয়াদী একটি বৈশ্বিক উদ্যোগের কথা ঘোষণা করে কোকা-কোলা কোম্পানি। যার উদ্দেশ্য হল ২০২০ সালের মধ্যে তার ভ্যালু চেইনের পাঁচ মিলিয়ন নারী উদ্যোক্তার অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন।

বৈশ্বিক এই অঙ্গীকারের সাথে মিল রেখে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন গ্রামীণ এবং প্রান্তিক নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য ইউনাইটেড পারপাসের সহযোগিতায় উইমেন বিজনেস সেন্টার গড়ে তুলেছে।

উদ্যোগটির প্রথম পর্যায়ে জামালপুর, খুলনা এবং বাগেরহাটের ৭০টি উইমেন বিজনেস সেন্টার (ডব্লিউবিসি) প্রত্যক্ষভাবে ১০০,০০০ নারী এবং পরোক্ষভাবে ৪০০,০০০ মানুষের সার্বিক কল্যাণে ভূমিকা রেখেছে এবং তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছে।

বর্তমানে সুনামগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলায় ৩০টি ডব্লিউবিসি নিয়ে এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এই পর্যায়ের লক্ষ্য ৪০,০০০ নারী উদ্যোক্তার ক্ষমতায়ন।

এসব বিজনেস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীরা ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তি, হাঁস-মুরগির খামার এবং নিজেদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। শুধু প্রশিক্ষণ দিয়েই উইমেন বিজনেস সেন্টারগুলো নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে না। নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ, ব্যবসা পরিচালনার জায়গা, এমনকি ডব্লিউবিসি থেকে তাদের পণ্য বিক্রিরও ব্যবস্থা করে থাকে।

দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া মাসবার্গ বলেন, “ইউনাইটেড পারপাস এর মাধ্যমে নারীরা ক্যারিয়ার গড়তে পারছে, সম্পদের মালিক হচ্ছে এবং নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছে।"

"মানুষের উন্নতি এবং সাফল্য অর্জনের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার চেয়ে ভাল কোনও বিনিয়োগ হতে পারে না।"

জাতিসংঘের নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে কোকা-কোলা সিস্টেম বাংলাদেশ এবং দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন।

এ লক্ষ্যে ওয়াটার স্টুয়ার্ডশিপ ও ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট (বর্জ্যমুক্ত পৃথিবী)-এর মতো কোম্পানিটির বৈশ্বিক উদ্যোগের দেশীয় সংস্করণগুলো দেশজুড়ে সমাজ উন্নয়নে কাজ করছে।

দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন হলো দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির বৈশ্বিক জনহিতকর অঙ্গসংগঠন।

পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং মানুষ ও কমিউনিটির সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য এ পর্যন্ত তারা বিশ্বজুড়ে ১.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।