সমালোচনাকারীদের ভুল প্রমাণ করে হাজং গান দিয়ে কোক স্টুডিও বাংলার যাত্রা শুরু

নাসেক নাসেক, হাপাল গিলা খিলাবো আজি আমরা

23-02-2022

(নাচো নাচো, কচি-কাঁচার দল, খেলবো আজকে আমরা)

তারা আসলেই খেলা দেখিয়েছেন। কোক স্টুডিও বাংলার নাম নিয়ে অনেক বিতর্ক ছিল, কেননা অনেকে মনে করেন ট্যাগলাইনে 'বাংলা' শব্দটি থাকার কারণে বাংলাদেশের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে এক ধরনের 'বাইরে' রাখা হয়েছে।

নানান সমালোচনাকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করে প্রতিভাবান গায়ক অনিমেষ রায়ের লেখা একটি হাজং সম্প্রদায়ের গান “নাসেক নাসেক” দিয়ে কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম পর্ব শুরু হয়।

হাজং বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তরাঞ্চলের এক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা। ইন্দো-আর্য ভাষাপরিবারের সদস্য এই ভাষার কারণে আর চমৎকার সুর ও দক্ষ মিউজিশিয়ানের মুন্সিয়ানায় গানটি আরও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।

বিশেষকরে বলতে হয় ম্যান্ডোলিনে শুভেন্দু দাস শুভর কথা, যার সাথে গিটারিস্ট ইমরান আহমেদের যুগলবন্দি গানের মাঝপথে সবার নজর কেড়ে নিয়েছে এবং বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। যদিও, গানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকে তার নিজ নিজ কাজটুকু নিখুঁতভাবে করেছেন।

নাসেক নাসেক - কোক স্টুডিও বাংলাদেশে গান গাইছেন অনিমেস রায়

গানটির সাথে জুড়ে দেওয়া হয় আব্দুল লতিফের লেখা কালজয়ী ‘দোল দোল দুলুনি’ গানটি, যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন পান্থ কানাই। প্রবীণ কণ্ঠশিল্পী এবং পারকাশন বাদক, কানাই, সম্পূর্ণ নিখুঁত তালে এবং অনিমেষের এনার্জির সাথে মিলিয়ে গেয়ে গেছেন। অদিত রহমানের সঙ্গীতায়োজন ছিল দুর্দান্ত।

গানের একটি জায়গাতে হয়তো আরেকটু ভালো করা যেত, আর তা হল ভিডিও এডিটিং, কাটওয়ের জায়গাগুলি কিছুটা খারাপ লাগছিল, প্রাথমিকভাবে কণ্ঠশিল্পীদের উপর আরও বেশি ফোকাস করা যেত।

যাইহোক, এটা অনুমান করাই শ্রেয় যে, যতই দিন গড়াবে ততই কাজের মান আরও ভাল হবে কেননা শায়ান চৌধুরী অর্ণবের নেতৃত্বে গুণী শিল্পীদের একটি দল এই কাজের সাথে রয়েছে।