শুরু হল কোকা-কোলার ‘বাংলা এখন, বাংলা তখন’ ক্যাম্পেইন
03-02-2019
শেয়ার এ কোক থিম নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড তার পঞ্চম ধারাবাহিক উদ্যোগ হিসেবে মাসব্যাপী ‘বাংলা এখন, বাংলা তখন’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে।
বিভিন্ন বয়সের ভোক্তারা যাতে বিভিন্ন উপায়ে তাদের প্রিয় পানীয় বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারে সেই প্রয়াসে বৈশ্বিক এই ধারনাটি চমৎকার কাজ করছে। কোক শেয়ার করে আনন্দঘন মুহুর্ত তৈরির মাধ্যমে তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের মধ্যকার সর্ম্পক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখাই এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্যে।
বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের বয়স ২৪ বছরের কম। তরুণ প্রজন্ম নিজেদের ভাব প্রকাশে বেশ কিছু বাংলা শব্দ ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করছে, যা ব্যবহারিক অর্থে ভিন্নতা নিয়ে এসেছে। যেমন—‘জটিল’ শব্দটি আজকাল তরুণেরা ‘খুব সুন্দর’ বা ‘অসাধারণ’ বুঝাতে ব্যবহার করছে। আভিধানিকভাবে ‘জটিল’ শব্দের অর্থ ‘যা সহজ নয়’ বা ‘গোলমেলে’। ভাষার এই বিবর্তন আমাদের 'শেকড়ের ধারকদের' সঙ্গে 'ভবিষ্যতের চালকদের' ভেতরে অস্বস্তির জায়গা তৈরি করছে। যদিও দুই প্রজন্মের মধ্যে ভাষার ব্যবহারে একটি ব্যবধান দেখা যাচ্ছে, কিন্তু সেরা স্বাদের কোকা-কোলার আবেদন সকল প্রজন্মের কাছেই সমান। আর এ কারণেই কোকা-কোলা নিয়ে এসেছে বাংলা এখন, বাংলা তখন। কোকা-কোলার এই ক্যাম্পেইন দুই প্রজন্মের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করবে এবং বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ পথচলাকে করবে আরো মসৃণ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনের অংশ হিসাবে প্রতিটি কোকা-কোলা বোতলের লেবেলে একটি করে বাংলা শব্দ, এর সমসাময়িক ব্যবহারিক অর্থ ও আভিধানিক অর্থসহ দেখা যাবে। সমসাময়িক ব্যবহারিক অর্থের এরকম ২১টি শব্দ বোতলের গায়ে ব্যবহার করছে। শব্দগুলোর মধ্যে রয়েছে—ব্যাপক, জটিল, কড়া, প্যারা, ভাব ইত্যাদি। ক্যাম্পেইনকে তরুণদের মাঝে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোকা-কোলা সারাদেশের ১৬৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষা নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এছাড়াও ক্যাম্পেইনে আরো থাকছে থিম সং, টিভি বিজ্ঞাপন, কুইজ, ডিজিটাল অ্যাক্টিভেশসহ এবং আরো অনেক কিছু। কোকা-কোলার www.coca-cola.com.bd/21 ওয়েবসাইটে ভিজিটররা কুইজ ও গেমসে অংশ নেওয়া ছাড়াও ২১টি শব্দের দুই ধরনের অর্থের সাথে তারা সহমত পোষণ করেন কিনা তা হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে জানাতে পারবেন।
এই আয়োজনে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের শামীমা আক্তার বলেন: ‘আমরা এই মহতী উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আনন্দিত।’ কোকা-কোলা ধারাবাহিকভাবে বাংলা ভাষার জন্যে কাজ করে চলেছে। আমরা বিশ্বাস করি এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভালবাসা, সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের বন্ধনে তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের সর্ম্পককে দৃঢ় করবে।"