নিশি কুলশ্রেষ্ঠ চতুর্বেদি
ভারত ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া অপারেটিং ইউনিটের মানবসম্পদ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট
নিশি কুলশ্রেষ্ঠ চতুর্বেদি ভারত ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া অপারেটিং ইউনিটের মানবসম্পদ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশি কুলশ্রেষ্ঠ চতুর্বেদির পেশাগত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি এ পদে যোগ দেন এবং অপারেটিং ইউনিটের মতোই বিজনেস ইউনিটও শক্তিশালী হিসেবে উঠে এলে তিনি তার যাত্রা অব্যাহত রাজবিন।
নিশি জনসম্পৃত্ত কর্মকাণ্ডগুলো সমন্বয় করে থাকেন এবং আক্রাতি, অমৃতা, গীতিকা, করন, মোহিত, নীহারিকা, স্যাভিও, সাভিজিত ও শালিনির মতো সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি স্বপ্নের নেটওয়ার্কিং টিমকে নিয়ে কাজ করেন। এই দলটি প্রতিনিয়তই ভারত ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার জনসম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মসূচি তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে:
দলটি সাধারণ মানুষদের নিজেদের মধ্যেই সেরা হয়ে উঠতে সহায়তা করে, যখন আমরা সবার জন্য উন্নততর ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নেতৃত্ব এবং সবার প্রিয় দূত তৈরি করছি।
নিশি কোকা-কোলায় যোগ দেন ২০১২ সালে, ইন্ডিয়া বিআইজি – হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজ প্রাইভেট লিমিটেডের (এইচসিসিবি) মানবসম্পদ বিভাগে; এরপর তিনি ভারত ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও তুরস্কসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চলে মানবাধিকার ও কর্মপরিবেশ অধিকার বিষয়ে নেতৃত্ব দেন। জনকৌশল বাস্তবায়ন, প্রতিভা বিকাশ, পরামর্শ প্রদান এবং ব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিয়ে কৌশলগত মানবসম্পদ সহায়তা প্রদান করেন। স্থানীয়ভাবে কৌশল উন্নয়ন, আগে থেকেই ঝুঁকি নির্ধারণ, সরবরাহকারী ও বোতলজাতে নিয়োজিতদের সক্ষমতা তৈরি, প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং অন্তর্নিহিত তথ্যের অনুমানের জন্য তিনি পরিচিত।
কোকা-কোলায় যোগ দেয়ার আগে স্নেইডার ইলেকট্রিক, কাইরান এনার্জি, ব্যাক্সটার হেলথকেয়ার এবং পেপসিকোর মতো ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী, স্বাস্থ্যসেবা, তেল, গ্যাস এবং জ্বালানি খাতের বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগে দুই দশকেরও বেশি সময়ের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে নিশির। তিনি বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তি এবং নারী নেতৃত্বের বিশেষ অনুরাগী— এবং প্রতিষ্ঠানজুড়ে নারী নেতৃত্ব উন্নয়ন ও দিকনির্দেশনামূলক নানা উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি অর্থনীতি ও ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় (মানবসম্পদে এমবিএ) স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। সহজাত কৌতূহল তার অব্যাহত শিক্ষণ ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেছে। এর ধারাবাহিকতায় তিনি সর্বশেষ মিশিগান ইউনিভার্সিটি থেকে হোগান সনদ ও উচ্চতর মানবসম্পদ নির্বাহী প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন।
ললিতের সঙ্গে ২৫ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক নিশির। এই দম্পতি ২১ বছর বয়সী কন্যাসন্তান গুরিকার গর্বিত মা-বাবা। গুরিকা বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডামে মিডিয়া স্টাডিজ নিয়ে পড়ালেখা করেন। তিনি একজন প্রাণীপ্রেমী এবং সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষাকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে থাকেন। তার কাছে ভালো থাকার মন্ত্র হলো পায়ে হেঁটে দীর্ঘ ভ্রমণ এবং নৈঃশব্দের চর্চা।
“প্রকৃত নেতৃত্ব হলো অন্তর্ভুক্তি আনয়নের প্রয়াস, ব্যবসায়ের মূলে মানসিক নিরাপত্তা ও ভালো থাকা; তিনি কঠোরভাবে বিশ্বাস করেন যে রূপান্তরের শক্তিই হলো সেই ইচ্ছা যা সবাইকে প্রভাবের পরিপার্শ্বে একত্রিত করে।”