দেবযানী রাজ্য লক্ষ্মী রানা

ভাইস প্রেসিডেন্ট— পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, কমিউনিকেশন ও সাসটেইনিবিলিটি, কোকা-কোলা ভারত ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট— পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, কমিউনিকেশন ও সাসটেইনিবিলিটি, কোকা-কোলা ভারত ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া

দেবযানী রাজ্য লক্ষ্মী রানা ভারত ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার জন্য পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, কমিউনিকেশন ও সাসটেইনিবিলিটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট সরকার ও করপোরেট সংশ্লিষ্ট বিষয়, কৌশলগত ব্যবসায়িক স্বার্থ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ দক্ষতা, করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা ও টেকসই ব্যবস্থার মতো ক্ষেত্রগুলোতে দেবযানীর কাজের অভিজ্ঞতা ২৫ বছরেরও বেশি। তার কাজের মূল ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত ও এশিয়া উপমহাদেশে নীতিমালা, আইন, ব্যবসায়িক চুক্তি ও বিধিমালা, করপোরেট সম্পর্ক এবং বিনিয়োগ-উদ্যোগগমূহ।

২০১৪ সালে তিনি ক্যাটারপিলার ইনকরপোরেশনে যোগ দেন এবং প্রতিষ্ঠানটির ভারত ও এশিয়া উপমহাদেশের জন্য সরকার ও করপোরেট সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরিচালক ছিলেন। ক্যাটারপিলারে থাকা অবস্থায় তিনি দূত হিসেবে কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন নীতিমালা ও আইনগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করা এবং পাশাপাশি সর্বোচ্চ ব্যবসা নিশ্চিত ও করপোরেট সুনাম বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসায়িক ঝুঁকি কমিয়ে এনেছিলেন। তিনি অবকাঠামো, স্থায়িত্ব ও ব্যবসায়িক বিভিন্ন খাতের সর্বোচ্চ প্রভাব নিশ্চিত করতে সম্পদকে কেন্দ্র করে সফলভাবে কার্যকর কৌশল তৈরি করেছেন, যা ব্যবসা বাড়িয়েছে, ব্যবসাকে লাভজনক করেছে এবং স্থানীয় ও রপ্তানি বাজারে উৎপাদন সম্প্রসারণ করেছে।

করপোরেট কৌশল ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি টিমগুলোতে দেবযানী সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক নীতিমালা ও আইন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে তিনি প্রাতিষ্ঠানের পক্ষে নেতৃত্ব দিতেন। বিভিন্ন পণ্য, সেবা, তথ্য ও বিনিয়োগের প্রবাহে প্রভাব পড়ে এমন শুল্ক, বহিঃশুল্ক, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, বিধিনিষেধ এবং অন্যান্য আইনি বিষয়গুলো এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।

তিনি অভ্যন্তরীণ, বাহ্যিক ও ব্র্যান্ড যোগাযোগের উদ্যোগগুলোতে নেতৃত্ব দিতেন যা ব্যবসার জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনে এবং প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে অবদান রাখে। তিনি ব্যবসায় দূরদৃষ্টি তৈরি করেন এবং সততা ও শক্তিশালী নৈতিক মূল্যবোধের মাধ্যমে ফলাফল অর্জন করতে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।

ভারত ও এশিয়া উপমহাদেশে জনবলের কর্মপ্রস্তুতি, স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) শিক্ষায় মনোযোগ, প্রাকৃতিক অবকাঠামো ফিরিয়ে আনা এবং অপরিহার্য সেবাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দেবযানী নানা ধরনের সিএসআর কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলেন। সিএসআর প্রতিশ্রুতি পূরণে গতি আনয়ন এবং বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ও অংশীদারত্ব সম্পর্ক বৃদ্ধিতে তিনি কৌশলগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেন। তিনি একাধিক মন্ত্রণালয় ও বহুপাক্ষিক খাতের অংশীজনদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করেছেন এবং টেকসই কর্মসূচি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্বস্থানীয় অধিবেশনগুলোতে যুক্ত থাকেন।

দেবযানী অ্যাসোচ্যাম (ASSOCHAM), ফিক্কি (FICCI), অ্যামচ্যাম (AMCHAM), ইউসিসপিএফ (USISPF) ও আইসিইএমএ (ICEMA)-এর মতো বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনে তার প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও অগ্রাধিকার তুলে ধরতেন। তিনি ভারতে একাধিক নীতিমালার জন্য নির্মাণ ও খনন শিল্পের পক্ষে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ক্যাটারপিলার ইনকরপোরেশনে যোগ দেওয়ার আগে দেবযানী জাতিসংঘ, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, বিভিন্ন অলাভজনক সংস্থা এবং বেসরকারি খাতে কাজ করেছেন।

নেপালের নাগরিক দেবযানী লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই) থেকে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (উন্নয়ন অর্থনীতি ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা ডেসটিন) অর্জন করেছেন; নেপালের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি থেকে অর্জন করেছেন মানবিকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান); ভারতের দিল্লি ইউনিভার্সিটির লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে অর্জন করেছেন মানবিকে স্নাতক সম্মান ডিগ্রি (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)।

তার একমাত্র ছেলে আদিদেব দিল্লিতে থাকেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন, বই পড়তে ভালবাসেন, রান্না উপভোগ করেন এবং পাহাড়ে চড়তে ও ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন।